কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল

1
111
কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল

কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল। লালমনিরহাট জেলায় কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গরুর হাল।এক সময় গরুর হাল নিয়ে ছুটে চলতেন গ্রামের পর গ্রামে।বৃদ্ধ থেকে শুরু করে যুবোগ ও মধ্যবয়সী সহ সবাই গরুর হাল নিয়ে বের হতেন। গরুর হাল নিজের কাজের পাশাপাশি ব্যবহার হতো বিভিন্ন লোকের জমি চাষের কাজে। কিন্তু আধুনিকায়নে বিভিন্ন হাল চাষের গাড়ী এলাকা ভরপুর।যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে একমাত্র উৎস রত ঐতিহ্যবাহী গরুর হাল।

সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়,তখনকার সময়ে গরুর হালের লাঙ্গল ও জোয়াল মেরামতের জন্য হাট বাজারে দোকান দিয়ে বসত।এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গরুর হালের লাঙ্গল ও জোয়াল মেরামত করত।কিন্তু এখন আর গরুর হাল ব্যবহার না করার ফলে গরুর হালের মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না।কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার গরুর হালে চাষ করেন দেলবার হোসেন,বলেন এক সময় গরুর গাড়ী হাল ছারা জমি চাষ করা যেত না।কিন্তু এখন এলাকায় কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের যনবহন বের হওয়ায় এখন আর গরুর হাল প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ঐতিহ্যবাহী কলরেডি ৩০০ মাইক যশোরে

শিক্ষক শাহ্ আলম বলেন, আগে প্রতিদিন সকাল হলে দেখা যেতো গরুর হাল ছারা অনন্য কোন জমি ছাষের যন্ত্র পাওয়া যেতনা। কিন্তু এখন ঘরে থেকে বেরহলে পাওয়ার টিলার ট্রাকটর পাওয়া যায় কারণে এখন আর গরুর হাল প্রয়োজন হয় না। চন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাপারহাটের এক গরুর হালের লাঙ্গল জোয়ালের মেকার জানায়,এক সময় নিজের হাতে অনেক গরুর হালের লাঙ্গল জোয়াল মেরামত করেছি। কিন্তু এখন কার সময়ে বাড়ী বাড়ী লাঙ্গল জোয়াল থাকলেও তা কেউ ব্যবহার করে না।এতে মেরামতের কাজ হয় না।যার কারণে এই পেশা ছাড়তে হয়েছে।তিনি আরও বলেন,সময়ের আবর্তে এক সময় গরুর হাল দেখতে যেতে হবে জাদুঘরে। নতুন প্রজন্ম হয়তো জানবেও না গরুর হালের ইতিহাস।

1 মন্তব্য

একটি রিপ্লাই দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.