আমি প্রথমবার যখন আমার খালার বাসায় বেড়াতে গিয়ে দেখি কবুতর ছাড়ছে তাদের বাসা থেকে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম; এ পাখিগুলোর নাম কি। খালা বলল, কবুতর এগুলির নাম। আমি বললাম আমিও পালব। খালা বলেন, তুমি ঢাকায় গেলে আমি তোমাকে দেব। আমি ঢাকায় যাবার সময় খালার কাছে গিয়ে বললাম, দিয়েছো। তিনি বলেন, তোমার বাবার কাছে। আমরা ঢাকায় গিয়ে দেখলাম যে, বাংলা কবুতর দিয়েছে। আমি পালতে শুরু করলাম এবং তাদের নাম দিলাম রাজা রানী আর সাভার ও নদী।
কবুতর এবার ডিম পাড়তে শুরু করে। আমি খুব খুশি হলাম। তারপর আমার অদম্য ইচ্ছে হলো, কিন্তু ডিম পচে গেল একই রকমভাবে ডিম দেয় এবং পচে যায়। তার কারণ, আমি যে স্থানটিতে কবুতর পালি সেটির পাশেই হলো বারান্দা। তার পাশে বাথরুম। সেখান থেকে পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এবার একটি কবুতর চোট পেল যার নাম রাজা, কিভাবে চোট পেল তা আমি জানি না। আমি ওদের জন্য যেখান থেকে ওষুধ আনি সেখানে নিয়ে যাই। তিনি বললেন যে, ঠা-ায় এরকম হয়েছে এই ওষুধ খাওয়ালে ঠিক হতে পারে। কিন্তু না,
রাস্তার মধ্যেই মারা গেল রাজা। বাসায় গিয়ে দেখি যে সাভার, নদীও মারা গিয়েছে। কিভাবে? মার কাছে জানলাম যে, বিড়ালের কামড়ে। এগুলো দেখে মনে খুব কষ্ট পাই আমি। এবং দুদিন ধরে জ্বরে ভূগি আমি। তারপর থেকে শুধু রানীকে পালি আমি। কিন্তু একই ভাবে মরলো রনি। তা শুনে আমার খালা একজোড়া গিরিবাজ কবুতর দিলেন আমাকে। কিন্তু দুটোই মেয়ে কবুতর। ডিম পারে কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমি একজোড়া পুরুষ নিয়ে আসি। এবার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ল এবং যথারিতি আবার নষ্ট হয়ে যায়। আমি তাও হার মানিনি। কারণ, আমার ইচ্ছা শক্তি আমাকে জয় লাভ করাবে। হঠাৎ করে আগস্ট মাসের ২৬ তারিখে ডিম দিল। এরপর পরের মাসের ৬ তারিখে বাচ্চা ফুটে। দেখে আমি মহা আনন্দ পেলাম এবং ২দিন পর চোখ ফুটলো এবং বড় হতে লাগলো। আমি ভাবলাম যে, মহান আল্লাহ এতটুকু ডিম থেকে কত বড় একটি বাচ্চা বের করল। তাহলে সে কিনা বের করতে পারে।
ফাতেমা প্রি ক্যাডেট স্কুল, শ্রেণি : ৬ষ্ঠ