কচিপাতা ডেস্ক :
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২, ১১:২১ অপরাহ্ন
|
আগামীকাল শনিবার, ১২ই ভাদ্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই এদিনে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমাদের বিদ্রোহী কবি।কবিকে তার ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। জাতী![]() য় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।ঢাকার দল ‘জেনেসিস থিয়েটার’ তাদের সৃষ্টির শুরু থেকেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।তার-ই ধারাবাহিকতায় ‘জেনেসিস লিটল থিয়েটার ট্রুপস’ আগামীকাল ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর’ ‘স্টুডিও থিয়েটার’ হলে কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘আমরা যদি না জাগি মা’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রাকৃতধারা বৃন্দ আবৃত্তি ‘কামাল পাশা’ পরিবেশন করবে।অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব কে এম বাবর আশরাফুল হক- ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক মানবজমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এ্যাড. এম এ মজিদ, কবি শাফিকুর রাহি, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিত্রপরিচালক সাজ্জাদ হায়দার, প্রাকৃতজন কবি শামিমরুমি টিটন এবং সাংবাদিক, নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক ইরানী বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ছড়াকার, কবি ও গীতিকার জনাব এম. আর. মনজু। উপস্থাপনায় থাকবেন ইমন খান ও সানজিদা রোজ।
উল্লেখ্য আলোচনা পর্ব ও কামাল পাশা পরিবেশনের পর ‘জেনেসিস লিটল থিয়েটার ট্রুপস’ পরিবেশন করবে কবির লেখা কবিতা ‘খোকার সাধ’ অবলম্বনে নাটক ‘সকাল বেলার পাখি’ ।
নাটকটির নাট্যরূপ করেছেন কামাল হোসাইন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘জেনেসিস থিয়েটারের’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূর হোসেন রানা।
মঞ্চ পরিকল্পনা ও নাটকটির কোরিওগ্রাফি করেছেন ইমন খান, আবহ সঙ্গীত বিকাশ, কস্টিউম ডিজাইন ইকবাল খান ও ফারজানা রনি এবং সেট ডিজাইন করেছেন নির্দেশক নিজেই।
নাটকটিতে দেখা যাবে একটি মফস্বল শহরের ছোট্ট একটি গ্রাম, ছায়ায় ঘেরা। নানা পেশাজীবী মানুষের বাস। সেই গ্রামের একটি ছেলে তোতন। তোতন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তোতনরা দুই ভাই বোন। বোন রামিসা।
তোতন ভাবুক প্রকৃতির ছেলে। নানা ভাবনা তার মাথায় বিরাজ করে। ভাবনার এক বিশাল সমুদ্রে সবসময় নিমজ্জিত থাকে। তার মা তাকে তার ভাবনা সম্পর্কে বোঝাতে থাকে। তোতন ও তার বন্ধুরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসা যাওয়া করে।
একদিন তার সহপাঠী গণেশ ক্লাশরুমে ঘুমিয়ে পড়ে। শ্রেণি শিক্ষক তার ঘুমানোর কারণ জানতে চাইলে সে জানায় সকালে সে নিয়মিত ভাবে ঘুম থেকে উঠতে পারে না।
গণেশের উত্তরে শ্রেনিতে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হলে শিক্ষক সবাইকে সকালে ঘুম থেকে উঠানোর প্রয়াজনীয়তা সম্পর্কে জানানোর জন্য জাতীয় কবির লেখা ‘খোকার সাধ’ কবিতাটি পাঠ করে তাদের শোনান।
এরপর থেকে তোতন ইচ্ছা করে সে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠবে। সবার ঘুম ভাঙ্গানোর দায়িত্ব নেবে। সকালের সুয্যিমামা তোতনকে তার দেশে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়।
সকাল তাকে সকালের প্রকৃতি দেখতে বলে। কাক তাকে সকালের সাধুবাদ জানাতে আসে। ঝরনা মাসি তোতনকে তার কাজের জন্য উৎসাহ দেয় এবং নাচ-গান করে । এভাবে তোতন এক কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায়।
তার মা তোতনের ইচ্ছাকে প্রথম দিকে শিশুসুলভ কল্পনা মনে করলেও পরবর্তীতে তোতন তার ইচ্ছাশক্তিতে মায়ের চাওয়া পূরণ করতে সাহায্য করে। গ্রামের সবার ঘুম ভাঙ্গানোর সঙ্গী হয়ে ওঠে তোতন। তোতন হয়ে ওঠে সকাল বেলার পাখি।
এরপর সকালের নাস্তা করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে থাকে। সামগ্রিক ভাবে জাতীয় কবির লেখা খোকার সাধ কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কবিতার নাট্যরূপ করা হয়েছে। তোতনের ইচ্ছা একটাই সে যদি না জাগে তাহলে সকাল আসবে না।আমরা যদি সবাই জেগে উঠি তবেই আমরা সকালের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন,আলেয়া বেগম আলো, সিয়ান, অনন্ত, তাহমিদ, রাফান, রাইয়ান, পলি, আমির, জীবন, ইকবাল ও মোকতার হোসেন। |