ঢাকা শান্তিনগরস্থ গোল্ডেন এরা কিডস্ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকবৃন্দ মিলে উদযাপন করেছে বর্ষবরণ উৎসব । গোল্ডেন এরার সাথে অংশগ্রহণ করেন লিট্ল মাস্টার স্কুল (খুদে পণ্ডিতের পাঠশালা) র শিক্ষার্থী বৃন্দ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ। মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন অংকন শিক্ষক অজিত কুমার সরকার । বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সকাল দশটায় শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। উৎসবের প্রধান উৎসব মণি ছিলেন মাসিক শিশু কিশোর পত্রিকা টইটম্বুুরের উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম চারুকলা ইনিষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, চিত্রশিল্পী, কথাশিল্পী ও শিশু বন্ধু সবিহ্-উল আলম । উৎসবকে উৎসব মুখর করার জন্য আরও উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপক(প্রাক্তন), সাধারন সম্পাদক নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র ফিরোজা মেরী, প্রফেসর ডাঃ আনোয়ারা বেগম , জনপ্রিয় ছড়াকার, শিশু সংগঠক মানসুর মুজাম্মিল, সংগঠক টিমুনী খান রীনো এবং ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা প্ররিষদের সাধারন সম্পাদক ডা: এম এ মুক্তাদীর প্রমুখ। আনুষ্ঠানের
সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের পরিচালক রাসেল আহমেদ।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সালমা আহমেদ হীরা তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে, যা কিছু অসুন্দর সব কিছুকে পেছনে ফেলে যা কিছু সুন্দর তাকে বরণ করে নতুন বছর কে স্বাগত জানিয়ে অভিভাবকবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, সন্তানকে সত্যিকার অর্থে মানুষ তৈরি করতে হবে। তিনি আরও বলেন সন্তানের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতিবোধ তৈরি করে সত্যিকার অর্থে মানুষ তৈরি করতে পারলেই সে হবে পরিবারের জন্য ও জাতির জন্য যোগ্যতম। বরাবরের মতো তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিসে ও ব্যক্তিগত কাজে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা তারিখ ও সন ব্যবহার করে আমাদের বর্ষপঞ্জিকে সমৃদ্ধ করার আহবান জানান।
অতিথিবৃন্দ অভিভাবকবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন জিপিএ ফাইভ পাওয়া কে স্বাফল্যের মাপকাঠি না ভেবে সন্তানেেক মানুষ হতে সহায়তা করেন। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা এবং পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ষোল আনা বাঙ্গালীয়ানার ছোঁয়ায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন ।
তাঁরা আরো বলেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এতটা বাঙ্গালীয়ানা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। নাচে, গানে, ছড়ায়, কবিতায় মেতে উঠেছিল বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা। মূল আর্কষণ ছিল ফ্যাশন শো। ফ্যাশন শোতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের হাতে শোভিত হচ্ছিল বাংলার ঐতিহ্য মাছ ধরার পলো, ঢোল, খালুই, একতারা, বাঁশি, ঝাঁপি, মুখোশ, মাথাল, ওচা, কুলা, চালন, ডুগডুগি, কাহইল সহ নানা সামগ্রী।সেই সাথে বৈশাখী ঐতিহ্যবাহী মন্ডা মিঠাই বাতাসা, নকুলদানা, মুড়ালি, সন্দেশ, চিড়ার মোয়া, কদমা, দানাদার চকলেট, তেঁতুলের চকলেট, তেঁতুলের আচার, মনাক্কা, বাদাম পাঁপড়ি, মটর ভাজা, মিঠাই, বাকরখানি,মিষ্টিসহ পনের পদ এবং বৈশাখী উপহার বাঁশি ও চরকি শিক্ষার্থীদের জুগিয়েছিল বাড়তি আনন্দের খোরাক।