লক্ষীপুর জেলার রাধাপুর গ্রামে সনামধন্য প্রতিষ্ঠান “রাধাপুর উচ্চ বিদ্যালয়”। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। এ স্কুলে সুশিক্ষা গ্রহণ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে, অফিস-আদালতে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত আছেন অনেকেই। তেমনি এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯জন উদীয়মান ছাত্রের চিন্তায় আসলো কিভাবে এ স্কুলে বড়-ভাই ছোট-ভাইদের মধ্যে যোগাযোগ ও একত্রিত করা যায়, কিভাবে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়, গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় উৎসাহিত করা যায়। সেই লক্ষে (এমদাদুল, ইব্রাহিম, সজিব, জুয়েল, শামিম, জালাল, রবিন, রুবেল ও রবিউল) এই ৯জন তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় “রাধাপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশন”।
এ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও প্রধান শিক্ষক জনাব মো: মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব মো: হেদায়েত হোসেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় “রাধাপুর হাইস্কুল প্রিমিয়ারলীগ” টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হয়। এই প্রথম রাধাপুর এলাকায় এতো জাঁকজমক ভাবে ৫দিন ব্যাপী ১৪টি ব্যাচের ১৪টি দল নিয়ে খেলার আয়োজন হয় ও সফলভাবে সমাপ্ত হয়। এলাকার ছোট-বড় সবাই অনেক খুশি। তারা চায় সবসময় এবারের মতো প্রতিবছর যেন এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়।
অনেক জমজমাট আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় টুর্নামেন্টটি। চ্যাম্পিয়ন হয় ব্যাচ-২০১৮ সাল (২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা) ও রানার্সআপ হয় ব্যাচ-২০১৩ সাল। সর্বোচ্চ গোল করে সেরা গোলদাতা হয় ব্যাচ-২০১৮ সালের সুপার স্টার ১০নং জার্সি পরিহিত “রাব্বী” ও সেরা গোলরক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হয় ব্যাচ -২০১৩ সালের ১নং জার্সি পরিহিত রাজিবুর রহমান।
ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী
বিজয়ীদের ট্রফি ও নগদ টাকা প্রদান করা হয় এবং ১৪টি দলের প্রতি প্লেয়ারকে ম্যাডেল দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আয়োজক কমিটি এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আবুল হোসেন স্যার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব মো: হেদায়েত হোসেন, লক্ষীপুর সদর থানার এস.আই, রাধাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম মাওলাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ব্যক্তি।
আর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
খেলার মিডিয়া পার্টনার হিসাবে ছিলো “কচিপাতা ম্যাগাজিন” এবং অন্যান্য সহযোগিতায় যারা ছিলো- মায়ের দোয়া এক্সেসোরিজ, স্মৃৃতি সাইন, ইউনিক সাইন ও মনির ইলেকট্রিক ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
-খালেদ ইব্রাহীম
প্রতিবেদক, কচিপাতা ম্যাগাজিন
মিডিয়া পার্টনার : কচিপাতা ম্যাগাজিন