জাতীয় কবির জন্মদিনে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের আয়োজনে নাটক ‘দামাল ছেলে নজরুল’

0
77
দামাল ছেলে নজরুল
দামাল ছেলে নজরুল, মানিকগঞ্জ

জাতীয় কবির জন্মদিনে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের আয়োজনে নাটক ‘দামাল ছেলে নজরুল’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সহধর্মিণী আশালতা সেনগুপ্ত তথা প্রমিলা নজরুলের পৈত্রিক নিবাস মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার, তেওতা জমিদার বাড়ি সংলগ্ন প্রমীলা-নজরুল সাংস্কৃতিক মঞ্চে আজ দিনব্যাপী জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক । মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) এমডি জাকির হোসেন।

স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক এবং প্রমীলা-নজরুল সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো:সাইফুল ইসলাম খান জানান প্রতি বছরের মতো এবছরও জাতীয় কবির শ্বশুর বাড়ি তেওতায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিমনি খানের সঞ্চালনায় এদিন জাতীয় কবিকে নিয়ে আলোচনা পর্ব ছাড়াও বেতার-টেলিভিশন ও স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ঢাকার দল ‘জেনেসিস থিয়েটারে’র জনপ্রিয় প্রশংসিত নাটক “দামাল ছেলে নজরুল”। যা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন কর্মের উপর দুই বাংলায় নির্মিত একমাত্র মঞ্চ নাটক ।
নাটকের দল “জেনেসিস থিয়েটার” জাতীয় কবিকে নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কবির ১২৪তম জন্মবার্ষিকীতে “দামাল ছেলে নজরুল” নাটকটির ২৭ তম মঞ্চায়ন করবে।
নাটকটির রচনা করেছেন মাহমুদ উল্লাহ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন নূর হোসেন রানা, কোরিওগ্রাফি করেছেন ইমন খান, আবহ সঙ্গীত বিকাশ, কস্টিউম ডিজাইন ইকবাল খান ও ফারজানা রনি এবং সেট ডিজাইন করেছেন নির্দেশক নিজেই।

‘দামাল ছেলে নজরুল’ নাটকটির কেন্দ্রীয় নজরুলের চরিত্রে ইমন খান এবং কমরেড মোজাফফর চরিত্রে নিথর মাহবুব ছাড়াও অভিনয় করেছেন নির্দেশক নূর হোসেন রানা,আলেয়া বেগম আলো, ফারাহ ফেন্সী, মাহবুব জামান, ইকবাল, পপি, মোক্তার, জীবন, প্রদীপ কুমার ঘোষ, পিংকি, আমির, আঃ কাদের,অংকন, অনন্ত প্রমুখ ।

নাটকটিতে দেখা যাবে নজরুল ছেলে বেলায় বাবাকে হারিয়ে নিদারুণ কষ্টের মাঝে ছোটবোন কুলসুম আর মাকে নিয়ে ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ্য করে বড় হয় নজরুল। মসজিদের ইমামতি করে সংসার চালাতে কস্ট হয় বলে, লেটোদলে কাজ নেয় নজরুল। সেখানেও ঠিকমতো পয়সা না পেয়ে রুটির দোকানে কাজ শুরু করেন। এভাবেই বাউন্ডলের মত জীবন চালনার জন্য মায়ের বকুনি আর বিবেকের তাড়নায় ইন্সপেক্টর কাজী রফিজুল্লাহ সাহেবের বাড়ি ময়মনসিংহে লজিং থেকে আবারো পড়াশুনা শুরু করেন নজরুল। সেখানে তিনি লজিং বাড়ির মেয়ে সিতারার সাথে পরিচিত হন। একসময় সেখান থেকে আবার চলে আসে চুরুলিয়ায় মায়ের কাছে। ভর্তি হন রাণীগঞ্জে ‘শিয়ারশোল’ স্কুলে। এই স্কুলে থাকা অবস্থায় ইংরেজ তাড়ানোর কাজ শুরু করে নজরুল। চলে যায় যুদ্ধে, যুদ্ধের পাশাপাশি তাঁবুতে রাতের আঁধারে মাওলানা হাফিজের কাছে সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রাখেন, অতঃপর সেখানে হাবিলদার নজরুল বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়ার পর আবার কলকাতা এসে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘কলম’ নামক ‘অস্ত্র’ হাতে নেন নজরুল। সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশ পেলে নতুন করে সারাদেশে ঝড় তোলে। সে সময় ষনজরুল ইচ্ছা পোষন করেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করার। এসব নিয়ে নাটকটির কাহিনী রচনা হলেও, এর মাঝেই রয়েছে- লেটোদলের গান, নাচ, আবৃত্তি, পুঁথি পাঠ, পালা, হাফিজের দিওয়ানসহ নজরুলের প্রতি সিতারা, রমাবৌদি, ঠাকুমা, অরুনাদি ও পিনাকিদের ভালবাসার গল্প।

একটি রিপ্লাই দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.