জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধু যুবমেলা ২০২১ শুরু। কচিপাতা

0
449
বঙ্গবন্ধু যুবমেলা ২০২১

শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত সপ্তাহব্যাপি বঙ্গবন্ধু যুবমেলা ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণসমাজ। আমর জানি সারা পৃথিবীতে যে কোনো আন্দোলন-বিপ্লব তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ ছাড়া হয়নি। যে কোনো প্রয়োজনে কিংবা প্রগতির উন্নয়নে যুবকদের ভূমিকা অপরিসীম।

‘মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মাননীয়  মন্ত্রী ও আগত অতিথিবৃন্দ

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুব মন্ত্রণালয় গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে কীভাবে তাদের কাজে লাগানো যায় সে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, হাস-মুরগি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, গাভি পালন হতে শুরু করে বিভিন্ন উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমরা বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা ভোগ করছি। অর্থাৎ আমাদের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য দেশের চলমান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের এ জনমিতিক সুবিধা শুরু হয়েছে ২০১২ সালে, যা চলমান থাকবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। এ সময়কালে দেশের শ্রমবাজারে মোট জনসংখ্যার ৫০-৬০% কর্মোপযোগী যুবক ও যুবনারীর প্রবেশ ঘটবে।

জনসংখ্যার এই বৃহৎ অংশের কল্যাণে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে । তাই যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বেকার যুবদের উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা, যুব ঋণ প্রদান ও দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলস  কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। আলোচনা শেষে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বমোরা’ নৃত্য পরিবশেন করছে অন্তরঙ্গ শিশু যুব সংগঠনের শিল্পীরা।

যুব মেলাতে ১০৮টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে যু্ব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে সফল কর্মীদের বিভিন্ন উদ্ভাবন ও পণ্য প্রদর্শণ করা হয়।

ছবিতে কচিপাতা ম্যাগাজিনের সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো একটি স্টল পরিদর্শণ করছেন। এই স্টলের উদ্যোক্তার নাম কান্তা চৌধুরী, উদ্যোগের নাম: ফারহীন গ্ল্যাম এন্ড ফ্যাশন, ঢাকা। এটি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।

একটি রিপ্লাই দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.