বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্টস ফোরামের উদ্দ্যোগে ছবি আঁকা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহান বিজয় দিবসের বার্তা এবং স্বাধীনতার চেতনা নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে গেঁথে দেয়ার প্রয়াস নিয়ে বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্টস ফোরাম উদ্দ্যোগে ‘আমরা বিজয়ী শিশু’ শিরোনামে ছবি আঁকা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তারই ধারাবহিতকায় আজ ১১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মানবাধিকার আন্দোলনের নেত্রী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল, চিত্রশিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্টস ফোরাম মমতাজ বিলকিস, প্রেসক্লাবের সধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদা চৌধুরী, সাজেদা সেতারা আর্ট একাডেমির পরিচালক মীর আহসান, উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ফাহমিদা আহমদ, মকবুলা পারভীন, আফরোজা নাজনীন, আফরোজা আঁখি, শুক্লা সরকার, আলেয়া বেগম আলো, নাসরীন গীতি।
সুলতানা কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের চেতনাকে ধারণ করে শিশুদের মানুষের মত মানুষ হতে হবে। এজন্য শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণের মনোভাব পরিহার করে নৈতিকতা ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের আহ্বান জানান তিনি।কামাল আরো বলেন, ঘরে বাইরে কোথাও আজ আমরা নিরাপদ নই। খুন, গুম, ধর্ষনের পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। শিশুেেদর শিক্ষা ব্যবস্থা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আর এসবই ঘটছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা মূলক মনোভাবের কারণে। তিনি আরো বলেন, শিশুদের দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব অভিভাবকদের হাতেই। আজকের শিশুরাই আগামীর নাগরিক। অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনিও আগে সবাইকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দেন।
উইমেন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি মমতাজ বিলকিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শারমীন রিনভী।’ মমতাজ বিলকিস বলেন, ‘এ দেশের মানুষের মুক্তির স্পৃহা মহান স্বাধীনতায় রূপ নিয়েছে। শিশুদের মাঝে এ চেতনাকে গ্রোথিত করে বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে সেরা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’ আয়োজকরা জানান, দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্কুলের তিনটি বিভাগে মোট ১০৩ জন প্রতিযোগীর প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২১ জন বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত শিশুরা স্বাধীনতা ও বিজয় নিয়ে গান ও কবিতা পরিবেশন করে।