মঞ্চস্থ হলো নাটক “সকাল বেলার পাখি”। কচিপাতা

1
498
মঞ্চ নাটক সকাল বেলার পাখি
মঞ্চ নাটক সকাল বেলার পাখিতে অভিনয় করে শিশুরা

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে মঞ্চস্থ হলো নাটক “সকাল বেলার পাখি”

কচিপাতা ডেস্ক

 

মঞ্চ নাটক “সকাল বেলার পাখি
মঞ্চ নাটক “সকাল বেলার পাখি” নাটকে শিশুদের ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষক ( মোকতার)

আজ শনিবার, ১২ই ভাদ্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ‘জেনেসিস লিটল থিয়েটার ট্রুপস’ ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর’ ‘স্টুডিও থিয়েটার’ হলে কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘আমরা যদি না জাগি মা’ শীর্ষক আলোচনা ও প্রাকৃতধারা বৃন্দ আবৃত্তি ‘কামাল পাশা’ পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এ্যাড. এম এ মজিদ, কবি শাফিকুর রাহী, সাংবাদিক, নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক ইরানী বিশ্বাস, সাংবাদিক, অভিনেতা, মাইমশিল্পী নিথর মাহবুব এবং প্রাকৃতধারার দলপ্রধান রিফাত আমিন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছড়াকার, কবি ও গীতিকার জনাব এম. আর. মনজু। উপস্থাপনায় ছিলেন ইমন খান।

উল্লেখ্য আলোচনা পর্ব ও কামাল পাশা পরিবেশনের পর ‘জেনেসিস লিটল থিয়েটার ট্রুপস’ পরিবেশন করে কবির লেখা কবিতা ‘খোকার সাধ’ অবলম্বনে নাটক ‘সকাল বেলার পাখি’ । নাটকটির নাট্যরূপ করেছেন কামাল হোসাইন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘জেনেসিস থিয়েটারের’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূর হোসেন রানা।

নাটকটিতে দেখা যায় একটি মফস্বল শহরের ছোট্ট একটি গ্রাম, ছায়ায় ঘেরা। নানা পেশাজীবী মানুষের বাস। সেই গ্রামের একটি ছেলে তোতন। তোতন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তোতনরা দুই ভাই বোন। বোন রামিসা। তোতন ভাবুক প্রকৃতির ছেলে। নানা ভাবনা তার মাথায় বিরাজ করে। ভাবনার এক বিশাল সমুদ্রে সবসময় নিমজ্জিত থাকে। তার মা তাকে তার ভাবনা সম্পর্কে বোঝাতে থাকে। তোতন ও তার বন্ধুরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসা যাওয়া করে।

মঞ্চ নাটক সকাল বেলার পাখি
মঞ্চ নাটক সকাল বেলার পাখিতে মা (আলেয়া আলো) ও তার ছেলেমেয়েদের ( তোতন চরিত্রে সিয়ান, রামিশার চরিত্রে ইয়াশফা) সাথে একটি দৃশ্য।

একদিন তার সহপাঠী গণেশ ক্লাশরুমে ঘুমিয়ে পড়ে। শ্রেণি শিক্ষক তার ঘুমানোর কারণ জানতে চাইলে সে জানায় সকালে সে নিয়মিত ভাবে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। গণেশের উত্তরে শ্রেনিতে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হলে শিক্ষক সবাইকে সকালে ঘুম থেকে উঠানোর প্রয়াজনীয়তা সম্পর্কে জানানোর জন্য জাতীয় কবির লেখা ‘খোকার সাধ’ কবিতাটি পাঠ করে তাদের শোনান। এরপর থেকে তোতন ইচ্ছা করে সে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠবে। সবার ঘুম ভাঙ্গানোর দায়িত্ব নেবে। সকালের সুয্যিমামা তোতনকে তার দেশে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। সকাল তাকে সকালের প্রকৃতি দেখতে বলে। কাক তাকে সকালের সাধুবাদ জানাতে আসে। ঝরনা মাসি তোতনকে তার কাজের জন্য উৎসাহ দেয় এবং নাচ-গান করে ।

এভাবে তোতন এক কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায়। তার মা তোতনের ইচ্ছাকে প্রথম দিকে শিশুসুলভ কল্পনা মনে করলেও পরবর্তীতে তোতন তার ইচ্ছাশক্তিতে মায়ের চাওয়া পূরণ করতে সাহায্য করে। গ্রামের সবার ঘুম ভাঙ্গানোর সঙ্গী হয়ে ওঠে তোতন। তোতন হয়ে ওঠে সকাল বেলার পাখি। এরপর সকালের নাস্তা করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে থাকে। সামগ্রিক ভাবে জাতীয় কবির লেখা খোকার সাধ কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কবিতার নাট্যরূপ করা হয়েছে। তোতনের ইচ্ছা একটাই সে যদি না জাগে তাহলে সকাল আসবে না। আমরা যদি সবাই জেগে উঠি তবেই আমরা সকালের প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবো।

মঞ্চ মঞ্চ নাটক “সকাল বেলার পাখি
মঞ্চ নাটক “সকাল বেলার পাখির মঞ্চায়ন শেষে সবাই এক ফ্রেমে

মঞ্চ পরিকল্পনা ও নাটকটির কোরিওগ্রাফি করেছেন ইমন খান, আবহ সঙ্গীত বিকাশ, কস্টিউম ডিজাইন ইকবাল খান ও ফারজানা রনি এবং সেট ডিজাইন করেছেন নির্দেশক নিজেই। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন, আলেয়া আলো, সিয়ান, ইয়াশফা, অনন্ত, তাহমিদ, রাফান, রাইয়ান, পলি, আমির, জীবন, ইকবাল ও মোকতার হোসেন। আলোকচিত্রে ছিলো অংকন তূর্য।

1 মন্তব্য

একটি রিপ্লাই দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.