ক্লাসের পড়ায় ছেলেটির একটুও মনোযোগ নেই। সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে তো আছেই। কি দেখছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। বেশ দূরে কয়েকটা গাছের মাথা এলোমেলো দুলছে। মনে হয় সেদিকেই তার আকর্ষণ। প্রায়ই শার্লদ্যুলিনার এরকম অবস্থা হয়। বই-খাতা ফেলে ওর উদাস চোখদুটি আর কোথাও হারিয়ে যায়। মনের ওপর তো কারো হাত নেই! শার্লদ্যুলিনা মনোযোগ দিতে চাইলেও কখন যে নিরস পাঠকক্ষ ছেড়ে তার মন ঘুড়ির মত উড়ে গেছে, সে কি করে তা টের পাবে! শিক্ষক তাকে বইয়ের দিকে ফেরানোর চেষ্টা করেও পারেন না। ক্লাস-শিক্ষক অনেকক্ষণ থেকেই খেয়াল করছেন শার্লদ্যুলিনার দৃষ্টি এখানে নেই। এভাবে তো আর ওকে প্রশ্রয় দেয়া যায় না! তিনি কড়া ধমকে হাঁক দেন- শার্লদ্যুলিনা?
-নিজ নাম কানে যেতেই আচমকা ধ্যান ভাঙে তার। থতমত খেয়ে বইয়ের দিকে তাকায়। টিচার রেগে ওঠেন-
-‘এতক্ষণ আমি কি বলছিলাম বল’! যথাারীতি দ্যুলিন চুপ করে থাকে। এতে আরও রেগে যান তিনি। তারপর ঘোষণা করেন-
-‘আজ তোমাকে শেষবারের মত ওয়ার্নিং দিচ্ছি! কাল যদি পড়া না শিখে আস, তো তোমার সম্পর্কে অন্য কিছু ভাবতে হবে- বুঝেছ’?
শার্লদ্যুলিনা ভয় পায়। খুব মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করে। কিন্তু সবকিছু কেমন জট পাকিয়ে ওঠে। শিক্ষকের রাগ তাকে আরও ভড়কে দেয়। ওর দিকে চোখ পড়া মাত্রই ক্লাস-শিক্ষকের মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়। তাঁর বিরাগ শার্লদ্যুলিনাকে আরও উদাস করে তোলে। চাইলেও সে এগিয়ে যেতে পারে না। একটা সংকোচ, একটা দ্বিধা তার পায়ে বেড়ী পরিয়ে রাখে। ধীরে ধীরে পড়ার প্রতি বিমুখ হয়ে ওঠে তার মন। মনোযোগ দিতে ভালো লাগে না। এসব কথা কাউকে সে বলতে পারে না। আবার সবার সাথে খাপ খাওয়াতেও পারে না। তাই মনে মনে কথা বলেই সে সময় কাটায়।
শার্লদ্যুলিনার বাবার একটা বাগান আছে। তিনি বাগানের জন্য অনেক পরিশ্রম করেন, নিজ হাতে যত্ন নেন। প্রচুর ফুল, লতাপাতা আর ফলের গাছ সেখানে বাতাসে দোল খায়। শিশুকাল থেকেই শার্লদ্যুলিনা ছিল এ বাগানের ভক্ত। ছোট্ট দ্যুলিনা যখন কান্না করত, তার মা তাড়াতাড়ি কোলে করে বাগানে নিয়ে আসতেন। সুন্দর একটা ফুল ছিঁড়ে হাতে তুলে দিতেন, ওমনি তার কান্না বন্ধ হয়ে যেত। খুশিতে ভরে উঠত চোখ-মুখ। স্কুলের পড়ায় সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পর সে বাগানে এসে বসে। আশপাশ অনেক কিছু ভাবে। তার চোখ ফেটে পানি আসে। একটা জেসমিন ফুলের গাছের কাছে এসে দাঁড়ায়- আ:! কি সৌরভ! তার মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেকক্ষণ সে বাগানে ঘোরাফেরা করে। মনে হয় সব গাছের ফুলেরা যেন তার দিকে তাকিয়ে হাসছে, তার বন্ধু হতে চাইছে! ধীরে ধীরে সে তার মনের কষ্টের কথা খুলে বলে। শার্লদ্যুলিনার মনের ভার কেটে যায়। বাগানের শীতল সুগন্ধি হাওয়া তার মনের সব বিষন্নতা উড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রজাপতির মতই হালকা লাগে নিজেকে। এখানে সে কত সহজ স্বচ্ছন্দ!
আস্তে আস্তে এ বাগানই তার সবচেয়ে প্রিয় হয়ে ওঠে। নিবিড় একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে গাছ-পালাগুলির সঙ্গে। বেশিরভাগ সময় শার্লদ্যুলিনা গাছের আশেপাশেই থাকে। গাছদের নানারকম রঙ, কলি ফোটা, ঝরা পাতা ফেলে নতুন পাতার সাজ এসবই খুব গভীরভাবে লক্ষ করত সে। ওদের সুখ-দু:খও যেন টের পেত। ক্লাসে ভালো না করলেও সে প্রতিটি গাছের নাম জানে আর বেড়ে ওঠার ধরন সম্পর্কে বেশ ভালো বলতে পারে। বাইরে খুব একটা কথাবার্তা না বল্লেও বাগানে হেঁটে হেঁটে সে প্রচুর কথা বলে চারাগুলোর সঙ্গে। সে সময়ে যে কেউ তাকে দেখলে মনে করবে গাছগুলো বুঝি জীবন্ত অথবা ওখানে হয়তো ওর কোন বন্ধু রয়েছে! দু’হাত নেড়ে মাথা ঝাঁকিয়ে কিছু বোঝানোর ভঙ্গিতে সে কথা বলত। এভাবে শার্লদ্যুলিনা কথায় বাক-পটু হয়ে ওঠে।
শার্লদ্যুলিনার বাবা সুইডেনের একটি শহরের গীর্জার সেবক। গীর্জাটা স্কুলের কাছেই, বেশি দূরে নয়। গীর্জার কাছাকাছি বলে সহজেই স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে পেয়ে যান। প্রায়ই শিক্ষকেরা বাবার কাছে নালিশ নিয়ে আসেন। শার্লদ্যুলিনার পড়ার দিকে তাঁকে বেশি করে খেয়াল দিতে বলেন। শার্লদ্যুলিনার লজ্জার সীমা থাকে না। মনে মনে ভালোভাবে পড়বে বলে প্রতিজ্ঞা করে। কিন্তু স্কুলের গেটে ঢুকলেই সে সব ভুলে যায়। অনেকবার বাবার কাছে স্কুল বদলের কথা বলতে গিয়েও বলতে পারলো না। তার অনীহার ভাবও কাটলো না। এভাবে কোনরকমে তার স্কুল-জীবন শেষ হয়।
শার্লদ্যুলিনার ব্যাপারে তার শিক্ষকরা বরাবরই হতাশ। তাঁরা মনে করেন যে, তার পড়াশোনা করার কোন ওর যোগ্যতাই নেই। উচ্চশিক্ষা ওর দ্বারা হবেটবে না। তাঁরা শার্লদ্যুলিনার বাবাকে পরামর্শ দিলেন–
– ‘শুনুন, ওকে বরং হাতে কলমে শেখা যায় এমন কিছুতে ভর্তি করিয়ে দিন’। মিছেমিছি সময় নষ্ট করার চাইতে সে অন্য কোন ভালো কাজ তো শিখুক! কাজে লাগবে’!
শার্লদ্যুলিনার প্রতি অবজ্ঞার দৃষ্টি ছুঁড়ে তারা চলে যায়। শিক্ষকদের কথা শুনে শার্লদ্যুলিনার বাবা-মা’র খুব মন খারাপ হয়ে যায়। তাঁদের বড় আশা ছিল ছেলে লেখাপড়া শিখে একদিন বিখ্যাত কেউ হবে। কিন্তু নিরাশ হলেও তাঁরা দমে যাননি। শার্লদ্যুলিনার মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ডাক্তারি পড়াবেন। তাই তার বাবা তাকে চিকিৎসা বিদ্যা শেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেন। শার্লদ্যুলিনা কি আর করেন। মায়ের মনে তো আর আঘাত দিতে পারেন না। তার নিজের ইচ্ছে ছিল উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়া। সেটাতো আর হল না। মনের কথা সে মনে চেপে রাখে। তবে মেডিকেলে ভর্তি হলেও গাছের সবুজ পত্র-পল্লবেই তার মন বাঁধা পড়ে থাকে। সময়ে সময়ে সে বাগানে ঘুরে বেড়ায়। বিচিত্র গাছের সন্ধান পেলে ভীষণ উল্লসিত হয়ে এর উৎপত্তি, ইতিহাস, জীবন বিকাশের ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে উঠে পড়ে লাগে।
চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াকালেই একবার ফ্রান্সের এক উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর লেখা বিখ্যাত একটা বই শার্লদ্যুলিনার হাতে আসে। বইটি পড়ে সে ভীষণ চমৎকৃত হল। দারুন উৎসাহ বোধ করল। সে গাছ-পালা তরুলতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার জন্য আরো প্রচুর বই-পত্র যোগাড় করে। উদ্ভিদ সম্পর্কে পড়াশোনা করতে লাগল অধ্যাবসায়ী ছাত্রের মত। মেডিকেলে পড়ার পরও প্রিয় বিষয় উদ্ভি দবিদ্যা নিয়ে সারাদিন মেতে থাকে। একটুও ক্লান্তি বোধ করে না।
গাছের জন্ম বৃত্তান্ত, কা-, শাখা, ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে সে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করে। সেসময়ে উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এর শ্রেণি-বিন্যাস বিষয়ে তুমুল আলোচনা চলছিল। সে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য তার খুব আগ্রহ হল। নিজেকে তৈরি করতে কাজে লেগে গেল। উদ্ভিদতত্ত্বের গভীর অধ্যায়নে মগ্ন হল সে।
অসীম ধৈর্য নিয়ে শার্লদ্যুলিনা পুরুষ গাছ ও স্ত্রী গাছের ভিত্তিতে এক বিশেষ শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করে বেশ বড়সড় একটি বই লিখে ফেলল। বইটি প্রকাশ পেলে চারদিকে খুব সাড়া পড়ে গেল। প-িত মহলে তার লেখার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ল। এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে বিশেষরূপে সম্মান জানাল। তারা তার গবেষণায় সহযোগিতার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করল। কিন্তু কিছু হিংসুটে লোক তা প- করে দেয়।
দ্যুলিনার মনোযোগ তাতে একটুও নষ্ট হলো না। চিকিৎসা ও উদ্ভিদচর্চা দুটোই সমানভাবে চালিয়ে যান। কে কি বলল, তাতে কান না দিয়ে কেবল সাধনা করে যাওয়াই তার কাজ বলে মনে করলেন। তিনি গভীর পড়াশোনার সাথে সাথে লিখতে থাকেন। উদ্ভিদের উপর তাঁর লেখা বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়। আস্তে আস্তে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যান। শার্লদ্যুলিনা বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। নতুন আবিষ্কার আর নতুন উদ্ভাবনের কাজে সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করেন। এসময় গাছের ওপর আরও বেশি জ্ঞান অর্জনের জন্য পায়ে হেঁটে সফর শুরু করেন। একটা বাঙ্কে কিছু কাপড়-চোপড়, ক্যামেরা ও কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে তিনি মাইলের পর মাইল হেঁটে পাড়ি দিতে লাগলেন। পথের কষ্ট ছিল সীমাহীন। কিন্তু শার্লদ্যুলিনার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। কোন কষ্টকেই তার পরোয়া নেই। এ যাত্রায় এক নাগাড়ে প্রায় সাতহাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হাঁটেন। অসামান্য অভিজ্ঞতা ও অনেক জ্ঞান তিনি লাভ করেন। গাছ-পালার ওপর নানারকম মূল্যবান তথ্য যোগাড় করে নিজ দেশে চলে আসেন। তিনবছর গবেষণায় ডুবে থাকেন। দেশে তাঁর সুখ্যাতি বেড়ে যায়। এতে হিংসায় অনেক নিন্দুক তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। তাঁর কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে।
শার্লদ্যুলিনা ভীষণ আঘাত পান মনে। শেষে ১৭৩৫ সালে নিজের দেশ থেকে বের হয়ে পড়েন। আবার পদ-যাত্রা শুরু করেন। পায়ে হেঁটে এবং চোখে দেখার অভিজ্ঞতার মূল্য বেশি বলে বিশ্বাস করতেন। তিনি সুইডেন থেকে দীর্ঘদিনে জার্মানীর হামবুর্গে আসেন। এ সময় তিনি অনেক দুর্লভ জিনিস সংগ্রহ করেন। হামবুর্গের যাদুঘরে কিছু জিনিস রাখতে চাইলেন। এর মধ্যে একটি বিরল প্রজাতির সাপও ছিল। সাপটি ছিল গাঢ় নীল রঙের এবং একই ধরনের সাতটি মাথা। যাদুঘর কর্তৃপক্ষ এমন অদ্ভুদ সাপ দেখে চমকে উঠল। তারা বিষয়টি সে দেশের প্রধান বিচারপতিকে জানাল। প্রধান বিচারপতি দ্যুলিনের সেখানে যাওয়াটাকে ভালো চোখে দেখল না। তিনি সাতমাথাওয়ালা সাপসহ দ্যুলিনের আগমনকে কুলক্ষণ বলে মত দিলেন। তিনি দ্যুলিনাকে শহর থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ জারি করেন। প্রকৃতি সম্পর্কে বিচারকের অজ্ঞতা দেখে দ্যুলিনা অবাক হন।
শার্লদ্যুলিনা পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ জানার জন্য আবার সফরে বের হন। এর মধ্যেই তিনি তাঁর চিকিৎসা বিদ্যার ডাক্তারি সনদের জন্য গবেষণা-প্রবন্ধ লেখায় মনোযোগ দিলেন। এ পর্যায়ে তিনি রচনা করেন বিশাল এক দুর্লভ বই। তিনি এর নাম দেন ‘প্রকৃতির শক্তি’। ভ্রমণে থাকা অবস্থায়ই ‘লীদেন’ শহর থেকে এটি প্রকাশিত হয়। এ বই প্রকাশের পর তিনি পান অসাধারণ খ্যাতি আর জনপ্রিয়তা। একজন ‘প্রকৃতি বিজ্ঞানী’ হিসাবে তাঁর নাম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত জেনে আমস্ট্রডামের একজন ধনী ব্যবসায়ী তাঁকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি উপলব্ধি করেন- সুযোগ পেলে এ আরো ভালো কিছু করতে পারবে। তাই তিনি শার্লদ্যুলিনাকে প্রস্তাব দেন-
-‘আমি আপনার জন্য সুন্দর একটি বাগান ও গবেষণাগার করে দিচ্ছি, সেখানে বসে আপনি ব্যাপক গবেষণার কাজ চালাতে পারবেন’।
দ্যুলিনা রাজি হন। একজন সহকারী সাথে নিয়ে সে বাগানে চলে আসেন। দীর্ঘদিন সেখানে বসে তাঁর অনেক গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেন। এরপর ফ্রান্স ভ্রমণে বের হন। অনবরত ঘুরে বেড়ানো আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়, এ ছিল দ্যুলিনার কাজের ধরন। জঙ্গল থেকে জঙ্গলে ছুটে বেড়িয়েছেন গাছের খোঁজে। ফ্রান্সের ‘মাউদুন’ নামের দুর্ভেদ্য জঙ্গলে নতুন গাছের অনুসন্ধানে নামেন। অনেক ধরনের তুন নতুন উদ্ভিদের নমুনা সংগ্রহ করেন। তিনি পরিচিতি পান সারা বিশ্বের একজন বিশেষ বিজ্ঞানী হিসাবে। এ ধরনের কাজ ছিল অনেক কষ্টের। দীর্ঘ পথের ক্লান্তি আর পরিশ্রমে তাঁর শরীর ভেঙ্গে পড়ে। একসময় তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
অবশেষে দীর্ঘদিন পর আবার নিজ মাতৃভূমি সুইডেনে ফিরে আসেন। বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার কারণে এবার দেশবাসী তাঁকে বিপুল সম্মান দেখান। তাঁর জন্য আয়োজন করেন অসাধারণ সব সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান। রাজ্যের সম্মানিত মানুষেরা তাঁকে বরণ করে নেন। তাঁর কাজের উপযুক্ত পরিবেশ এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দেন। এই সেই শহর, যেখানে এক সময় তাঁর শিক্ষকরা তাঁকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল। আজ তারাই শার্লদ্যুলিনাকে দেশের সবচেয়ে জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি হিসাবে বরণ করে ধন্য হলো।