
মাদারীপুরের শিবচরের সেই পিতৃহীন নবজাতকের মানসিক প্রতিবন্ধী মা সালমা পাগলীকে ঢাকার জাতীয় মানসিক হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন ব্যাংকার শামীম আহমেদ ও তার টিম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ঢাকায় পৌঁছান। সালমা পাগলী সুস্থ হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও পরবর্তিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন ব্যাংকার শামীম আহমেদ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পৌর এলাকার হাতিরবাগান মাঠের বালুর মধ্যে একটি শিশুর জন্ম দেয় মানসিক ভারসাম্যহীন এই সালমা। সেদিন রাতে হঠাৎ করেই নারীর চিৎকার ও সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর কান্নার শব্দে কয়েকজন যুবক অন্ধকার লক্ষ্য করে এগিয়ে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী সালমাকে সন্তান প্রসব দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি করে স্থানীয় কয়েকজন নারীর সহায়তায় তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মা সন্তান সুস্থ হন।

তারপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়। অনেকে শিশুটির জন্য মায়া কান্না করেন। কেউ বলে এই নবযাতকের ভবিষ্যৎ কি হবে? তাকে দেখবে কে? খাওয়াবে কে? কোন পরিবেশে বড় হবে? সেও কি তার মায়ের মত পাগলী হবে কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো কোনো মানুষ বা সেচ্ছাসেবি সংগঠন সেই পাগলীর কি হবে তা বলল না। পাগলীকে সুস্থ করার কথা চিন্তা করল না। কেউ বলল না যে যদি পাগলী আজ সুস্থ পরিবেশে থাকতো তাহলে আজ রাতের অন্ধকারে চরের বালির মধ্যে সন্তানটি ভূমিষ্ট হতো না। আর এখন যারা সন্তানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব মাথা ব্যথা করছেন তাদেরকে আর মাথা ব্যথা করতে হতো না। এমন সময় এগিয়ে এসেছেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের বন্ধু ব্যাংকার শামীম আহমেদ এবং তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কচিপাতার সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো।

—————————————-
আরও পড়ুন…
—————————————-
এমন মানুষ আছে বলে আজও পৃথিবীটা টিকে আছে। স্যালুট শামীম আহমেদ।