যশোরে বেহাল দশায় থাকা মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) প্রথম জনসভার মঞ্চটি ৫০ বছর পর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রোববার ১১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সেই মঞ্চটি উদ্বোধন হয়েছে। এদিন সেই সময়ের আলোকচিত্রী আব্দুল হামিদ রায়হানকে (তিনি অনুষ্ঠানের ছবি তুলে দেশি বিদেশি পত্রিকায় সরবরাহ করেন) দেয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
দেশের প্রথম জেলা যশোর শত্রুমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। এর ৫ দিনের মাথায় ১১ ডিসেম্বর মুন্সি মেহেরুল্লাহ ময়দানে জনসভা করে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার। টাউনহল মাঠের পশ্চিমকোণে স্থাপিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে
সেদিন বাঙালি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের ছবি তুলে দেশি বিদেশি পত্রিকায় সরবরাহ করেন আলোকচিত্রী আব্দুল হামিদ রায়হান।
ঐতিহাসিকতার নিরিখে ‘মঞ্চটির নামকরণ করা হয় ‘স্বাধীনতা মঞ্চ’। যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা জানান, স্বাধীনতা মঞ্চটি ছিল অযতœ অবহেলায়।
রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহু ঘটনার স্বাক্ষী স্বাধীনতা মঞ্চ’র মর্যাদা রক্ষার দাবি ছিল বিভিন্ন মহলের। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কাছে সংস্কারের দাবি জানালে মন্ত্রণালয় থেকে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। চলতি বছরের ২৬ মার্চ কাজের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নীল কুঠির নীল দুঃখ | জাহিদ হাসান
এদিকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই মঞ্চটি আধুনিকায়ন শেষে বিজয়ের মাসে উদ্বোধন হয়েছে। এদিন উদ্বোধনী দিনে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রথম জনসভার প্রামাণ্য চিত্র
প্রদর্শনী হয়েছে। পাশাপাশি সেই সময়ের আলোকচিত্রি আব্দুল হামিদ রায়হানকে দেয়া হয়েছে সংবর্ধনা। এছাড়া ছিল আলোচনা পর্ব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
[…] […]